শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৭:০৮ পিএম, ২০২০-১০-২৮
নাজিরহাট বড় মাদ্রাসায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। মুহতামিম মাওলানা ছলিমুল্লাহকে করা হয়েছে বহিস্কার। মুহতামিম করা হয়েছে মাওলানা হাবিবুর রহমান কাসেমীকে। মুতাওয়াল্লি করা হয়েছে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে। বুধবার অনুষ্ঠিত মাদ্রাসার শুরা বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বুধবারের (২৮ অক্টোবর) শূরা বৈঠকে নতুন মোহতামিমের পাশাপাশি নায়েবে মোহতামিম করা হয় মাওলানা ইয়াহয়াকে। মাদ্রাসাটির মুঈনে মুহতামিমের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মাওলানা ইসমাইলকে। এদিন মাদ্রাসায় সকাল ১১টা থেকে শুরু হয় এ শূরা বৈঠক। বৈঠকে শিক্ষা সচিব করা হয় হাবিবুল্লাহ নদভীকে।
ঢাকার খীলগাও মাদ্রাসার মুহতামিম নুরুল ইসলাম জিহাদী শূরার বৈঠক শেষে নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করেন। শূরার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পটিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম আবদুল হালিম বোখারী, জিরি মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা খোবাইব, অলি খাঁ মসজিদের সাবেক খতিব মাওলানা আনোয়ার, খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী মাওলানা ওমর ফারুক, মেখল মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা নোমান ফয়েজী, হাটহাজারী মাদ্রাসার মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী, বাবুনগর মাদ্রাসার মুহতামিম মহিবুল্লাহ বাবুনগরী, ওবাইদিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম সালাউদ্দিন, ঢাকার বসুন্ধরা মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আরশাদ রহমান, খীলগাঁও মাদ্রাসার মুহতামিম নুরুল ইসলাম জিহাদী, তালিমুদ্দিন মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ কাসেম, নাজিরহাট মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম হাবিবুর রহমান কাসেমী, ফতেপুর মাদ্রাসার মুহতামিম মাহমুদুল হাসান।
তবে শুরা সদস্য চারিয়া মাদ্রাসার মাওলানা আবদুল্লাহ, হাটহাজারী মাদ্রাসার প্যানেল মুহতামিম মুফতি শেখ আহমেদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না।
শূরা বৈঠকের সভায় মাওলানা ছলিমুল্লাহসহ মোট ১৩ জন বহিস্কার করা হয়েছে। বহিস্কৃত বাকি শিক্ষকরা হলেন মাওলানা সালাহ উদ্দীন, মুফতি হাশেম, মাওলানা মিজান, মাওলানা নুরুল আলম নছরি, মাওলানা মাহফুজুর রহমান, হাফেজ ইদ্রিস, হাফেজ আব্দুল কাদের। এছাড়া নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক মাওলানা ইয়াছিন, মাওলানা আলী আকবর, আমির হোসেন, মাওলানা আব্দুর রহিম, মাওলানা হারুনর রশিদকেও বহিস্কার করা হয়। এরা সকলেই মাওলানা ছলিমুল্লাহর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
এর আগে মাদ্রাসার পরিচালক পদ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা চলে আসছিল। সম্প্রতি মাদ্রাসা ঘিরে মারামারি, হামলার ঘটনাও ঘটে। থানায় দায়ের হয় মামলাও।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ‘মুহতামিম’ দাবিদার মাওলানা ছলিমুল্লাহ এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন গত ২৪ অক্টোবর দুপুরে। এ সময় ছাত্রদের একাংশ মাওলানা সলিমুল্লাহকে ‘মুহতামিম মানি না, শূরা চাই, শূরা চাই’ বলে স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে ছাত্রদের একটি অংশ স্লোগানধারীদের সরিয়ে দিতে চাইলে উভয়পক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মাদ্রাসার পরিচালক বা মুহতামিমের পদ নিয়ে মাওলানা সলিমুল্লাহ ও মাওলানা হাবিবুর রহমান কাসেমীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। ছলিমউল্লাহ মরহুম আহমদ শফির অনুসারী। অন্যদিকে হাবিবুর রহমান হেফাজতের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীর অনুসারী ছিলেন।
কক্সবাজার প্রতিনিধি: : কক্সবাজার সদরের খরুলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাজেদ সওয়ার জুয়েল রানা (২০) নামে এক মাদক কারবারিকে আট...বিস্তারিত
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি : : পাহাড়ে অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ সশস্ত্র তৎপরতায় লিপ্ত আঞ্চলিকদল জেএসএস এর সক্রিয় এক সন্ত্রাসীকে আটক কর...বিস্তারিত
কক্সবাজার প্রতিনিধি: : টেকনাফে বঙ্গোপসাগরে রোহিঙ্গাবাহী মালয়েশিয়াগামী ট্রলারডুবির ঘটনায় রোহিঙ্গাসহ ২৪ জনকে আসামি করে ...বিস্তারিত
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি : : ভারী বর্ষণের ফলে রাঙামাটির সাজেকে সড়কের উপর পাহাড় ধ্বস হয়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে কয়েক...বিস্তারিত
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : : খাগড়াছড়িতে সাফ জয়ী তিন ফুটবল খেলোয়াড়সহ চারজনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সক...বিস্তারিত
বান্দরবান প্রতিনিধি : : বান্দরবানের লামা উপজেলায় এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited